আশীর্বাদ করি সুখী জীবনের

সিলেট গিয়েছি ফুপাত ভাইয়ের বিয়েতে। আয়োজনে হরেক রকম ব্যস্ততা। ব্যস্ততার ফাঁক গলিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। ভাবলাম—সিলেটের যাদের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয়, তাদের দরবারে হাজিরা দিয়ে একটু পরিচিত হই। প্রথমেই নক করলাম যাকে, তার নাম ইবাদ বিন সিদ্দিক। তিনি একবার ফাতেহের অফিসে গিয়েছিলেন। তখন আমি তাকে চিনতাম না। পরবর্তীতে অনলাইনে খানিক পরিচয়। ইবাদ ভাই বললেন, ‘আমার অফিস তো আপনার কাছাকাছিই। চলে আসুন।’

মাগরিবের পর বন্দরবাজার রংমহল টাওয়ারে সিলটেকের অফিসে গিয়ে উপস্থিত হলাম। এতটা অমায়িক ইবাদ, প্রথম পরিচয়ের ইতস্ততা ভুলে গেলাম। মেতে উঠলাম আড্ডায়। ইবাদ ভাই যেহেতু একজন ওয়েব ডেভেলপার, আড্ডার মৌলিক বিষয় হয়ে উঠলো ওয়েব ডেভেলপিং কন্টেন্ট। ওয়েবসাইটভিত্তিক আমার কিছু প্রশ্ন ছিল, তিনি সাবলিলভাবে সবগুলোর উত্তর দিলেন। ফাতেহ সাপ্তাহিক সাময়িকীর প্রশংসা করলেন। আমাকে যারা চেনেন, ফাতেহের কল্যানেই চেনেন। তাই আমার সঙ্গে কারো দেখা হলে, ফাতেহের প্রসঙ্গ আসবেই।

কদিন আগে ফাতেহের ঈদুল ফিতর সংখ্যা প্রকাশ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গেলাম। ওয়েবসাইটে আমাদের ঈদসংখ্যার কাজ করতেন যিনি, লকডাউনে তিনি আটকে গেছেন গ্রামে। কাজ করতে পারবেন না। দ্রুত ইবাদ ভাইকে বললাম কাজটি করে দিতে। তিনি সানন্দে রাজি হয়ে গেলেন। ঈদ কাটাতে ইবাদ ভাই তখন গ্রামে গেছেন। ওয়াইফাই কানেকশন নেই। এমবি কিনে লেপটপে শুরু করলেন কাজ। তারপর শহরে গিয়ে ওয়াইফাই যুক্ত করে কাজটি সময়মতো বুঝিয়ে দিলেন। একজন মানুষ আন্তরিক না হলে, এমন করেন না। বুকের ভেতর দিল না তড়পালে, কেউ এতটা তৎপর হন না।

ইবাদ ভাই সৃজনশীল একজন মানুষ। সৃজনশীলতা তার কর্মে পরিস্ফুট। নিজের প্রতিষ্ঠান সিলটেকের নামলিপিতে ব্যবহৃত হলুদ রং কেমন ব্র্যান্ড হয়ে গেছে। সেদিন ইবাদ ভাইকে বলছিলাম, হলুদ দেখলেই এখন সিলটেকের কথা মনে পড়ে! হলুদ রংটা কিভাবে বাছাই করলেন! ইবাদ ভাই হাসেন। হাসিতেই তিনি যেন বলে দিলেন সব।

এতদিন একা ছিলেন ইবাদ ভাই। এখন দ্বিগুণ হয়ে গেলেন। একের নামতা বাদ দিয়ে শুরু করলেন দুইয়ের নামতা। একলা একঘেয়ে জীবনে ডেকে আনলেন বসন্ত। সুরের হাওয়ায় আয়োজন করলেন ভেসে যাবার। আমরা দু’হাত ভরে তাকে দোয়া দেই; আশীর্বাদ করি সুখী জীবনের।
শাদি মোবারক!

রাকিবুল হাসান
লেখক : ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, ফাতেহ টুয়েন্টিফোর ডটকম

Scroll to Top