জীবনচক্রে বিভিন্নভাবে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। ২০১২ সাল। ঢাকায় কোনো এক প্রোগ্রামে শ্যামলা একটা ছেলে পান চিবোতে চিবোতে এসে জিজ্ঞেস করলো নাম-পরিচয়। সে থেকে আজকের এই দিন পর্যন্ত বিভিন্ন গল্প আড্ডার কত স্মৃতি। বিশেষত আড্ডা শেষে বিদায় বেলায় যদি জানতে চাইতাম, ‘দোস্ত প্রেমট্রেমের খবর কী?’, কুঁকড়ে যেত লজ্জায়; সেই ইবাদের আজ বিয়ে!
সময়ের প্রান্তর পেরিয়ে, বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইবাদ তার যুগল জীবন শুরু করতে যাচ্ছে শুনে যারপরনাই খুশি হয়েছি। যে দিনটিকে ঘিরে প্রবল আগ্রহ কাজ করতো কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উপস্থিত হতে পারছি না বলে খানিকটা কষ্টও লাগছে। আমাদের বন্ধুমহলের বড় অ্যাডুক্যাটেড পার্সনের বিয়েতে থাকতে পারছি না তো কী হয়েছে! আমাদের আরও আড্ডা দেয়ার বাকি আছে, জীবন-বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে আমরা ট্যুরে যাবো, রাতভর গল্প করবো, প্রচুর পরিমাণে একে অপরকে পঁচাবো।
বিয়েও জীবন-বইয়ের একটা অধ্যায়। দু’টি জীবনের মিলন-মোহনা, এ অধ্যায়ে থ্রিল থ্রিল একটা ভাব আছে, লাইলি-মজনুর প্রেম আছে, সরকার-বিরোধী দলের ভূমিকা আছে, তাই এ অধ্যায় পড়তে গিয়ে ভুলে যাইস না অ্যাডুক্যাটেড বন্ধু আমার।
প্রিয় ভাবি তাহমিদা! বন্ধু আমার খুবই লাজুক, এত লজ্জা নিয়াও আপনারে দেইখা থাকতে পারে নাই। আপনেরে কান্ধে কইরা লইয়া আওনের লাইগা দিন-তারিখ ঠিক কইরা পূর্ণ প্রস্তুতি লইয়া মাঠে নাইমা পড়সে। তাই বন্ধুরে দেইখা রাইখেন, আদরে সোহাগে, পরম মমতায় আগলে রাইখেন। হৃদয় উজাড়-করা ভালোবাসা দিয়েন। আমাদের সাথে একটু-আধটু সময়ের লিগা পাঠায়েন।
দুজনের জীবন শান্তিতে-ভালোবাসায় ভরে উঠুক এ কামনায় আজ এখানে ইতি টানলাম।
খালিদ মুহাম্মাদ
লেখক : কবি, ব্লগার। সিইও, গ্রিড্স ল্যাব