বন্ধু যখন নয়া দামান

বন্ধুত্বের মধ্যে পারস্পরিক সম্বোধন সাধারণত নাম ধরেই হয়। অনেক ক্ষেত্রে নামের সাথে ভাই যোগ করে সম্বোধন হয়। পারস্পরিক এই ডাকাডাকির দ্বারাই বন্ধুত্বের ঘনিষ্টতা নির্ণীত হয়।

আমার কিছু বন্ধু এমন আছেন যাদের সাথে আমার সম্বোধন বিনিময় নাম ধরেও হয়না, আবার নামের সাথে ভাই যোগ করেও হয়না। আমরা পরস্পরকে বন্ধু বলেই ডাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার এমন এক বন্ধু ইবাদ বিন সিদ্দিক। নাম ধরে ডাকিনা বলে যে ঘনিষ্ঠতায় ঘাটতি আছে সেটাও না। আমাদের এই ঘনিষ্ঠতা প্রায় দেড় দশক পেরিয়ে এসেছে।

ইবাদ সিলেটের তরুণ আলেমদের পরিচিত মুখ। কওমি-আলিয়া উভয় লাইনের ডিগ্রীধারী আলেম। কিছুদিন আগে শুনলাম একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়েও ডিগ্রী নেয়ার চেষ্টা করছেন। লেখাপড়ায় সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি পেশাগত কাজেও ইবাদ যথেষ্ট দক্ষ ও উদ্যমী। একজন সৃজনশীল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ইবাদের যথেষ্ট সুনাম। সিলেট শহরে সিলটেক ক্রিয়েটিভ এজেন্সি নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

ইবাদ একজন লেখকও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্মগুলোতে লেখালেখি করেন। গতবছর তাঁর একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। ব্যবসা ও লেখালেখির সুবাধে সমধিক পরিচিত হলেও ইবাদ একজন শিক্ষক। তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত জামেয়া তা’লীমুল কোরআন মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁকে শিক্ষকতার দিকে বেশী মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিই। কেননা বাবার অবদান ও অর্জনকে ধরে রাখতে যেমনিভাবে এটা তার দায়িত্ব তেমনিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য এটা তার জন্য সুযোগও।

যাইহোক, ইবাদ বিন সিদ্দিককে নিয়ে এতকিছু বলার কারণ আছে। বন্ধু নয়া দামান হচ্ছেন। এই খুশির সংবাদে খুশির ঠ্যালায় এতকিছু বলে ফেললাম। নয়া দামানদের কদর করে মানুষ আসমানের তারার সাথে তুলনা করে। সাইল ধানের ন্যারা (খড়) দিয়ে বিছানা পেতে দিতে চায়। পানের বাটা দিয়ে বসিয়ে রাখে। আবার যাওয়ার কথা বললে নাকি কানও কেটে দেয়ার হুমকি দেয়। খুব ভয়ঙ্কর মেহমানদারি।

বন্ধুর যুগল জীবন সুখী হোক। ভাবীর সান্নিধ্য পেয়ে আরো গোছালো ও পরিপাটি হোক।
এবং অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে থাকুক।

শামসুল ইসলাম
লেখক : তরুণ আলেম, কলামিস্ট

Scroll to Top