এ যাত্রায়ও থাকুক তার শিল্পের ছোঁয়া

চলাফেরায় অতো গাম্ভীর্য ভাব নেই। তবে চিন্তা চেতনায় অতল গভীর। দূর থেকে মনে হবে একদম মনোযোগহীন। কাছে গেলে দেখা যাবে আপন উদ্দিষ্টে তিনি আপোষহীন।

হর-হামেশা নিত্য-নতুন চিন্তা-চেতনা ও অভিনব আইডিয়া তাঁর মাথায় ঘোরপাক খায়। কাজের মত কথায়ও সৃজনশীলতার স্পষ্ট ছাপ। এরপরও নিজের মতামতকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার কোন অভ্যেস তার মধ্যে নেই। সঙ্গত ভিন্নমতকে অশ্রদ্ধা করতে দেখিনি কখনও।

ইবাদ বিন সিদ্দিক। ছাত্রজীবন থেকেই আমার একদম কাছের মানুষ। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জাতীয় হোক বা আন্তর্যাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আমরা নিজেদের চিন্তা-ভাবনা একে অপরের কাছে শেয়ার করতাম। সামাজিক বিভিন্ন অসংগতিতেও আমরা ছিলাম সমব্যথী। ফলশ্রুতিতে আমরা কয়েকজন ‘সিলেট সামাজিক আন্দোলন’ নামে একটি সংস্থা গঠন করেছিলাম। কিছু কর্মসূচিও হাতে নিয়েছিলাম। এসব কিছুর মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন ইবাদ বিন সিদ্দিক। তবে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করার পর এর কর্মধারা অব্যাহত থাকেনি।

যে কারো যোগ্যতার মূল্য তার কাছে অনেক বেশী। মানুষকে তিনি যোগ্যতার নিরিখেই মূল্যায়ন করেন। তাঁর বন্ধু-বান্ধব ও আশপাশের মানুষদের দেখেছি, এদের সবাই কোন কোন বিশেষত্বের অধিকারী।

কখনো তার রাগ দেখিনি। মস্তিষ্কে চাপ দিয়েও তার রাগত চেহারা কল্পনা করতে পারিনি। সর্বদা সহাস্য চেহারায় রাগ হয়তো বেমানান।

তার কথা চিন্তা করলে আমার কেন জানি মনে হয়, কাউকে ভালো মানুষ বলতে হলে এরচেয়ে বেশি গুণাবলি থাকার প্রয়োজন নেই।

বহুল যোগ্যতার অধিকারী মেধাবী এ মানুষটি নিজের জীবনকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন। অবগাহন করতে যাচ্ছেন পূর্ণতা ও পূণ্যতার মোহনায়। যুগল জীবনের নান্দনিক অভিযাত্রায়। জানি, এ যাত্রায়ও থাকবে তার শিল্পের ছোঁয়া। পরিণয়ের পরিণাম হবে স্নিগ্ধতায় ধোয়া। আমরা এরই অপেক্ষায় ছিলাম।

নোমান মারুফ
লেখক : বরের সহপাঠি
মুহাদ্দিস, মুহাম্মদপুর মেজরটিলা মাদরাসা

Scroll to Top