ইবাদ বিন সিদ্দিকের জন্য ক’টি লাইন

ইবাদ বিন সিদ্দিককে ফেসবুকে ঠোঁটকাটা লোক হিসেবেই জানতাম। ব্যক্তিগত পরিচয় ছিলনা একেবারেই। যা লিখতেন সরাসরি লিখতেন। আমরা যে বিষয়টাকে ডাইরেক্ট অ্যাকশন বলে জানি।

কিন্তু তাকে জানতে গিয়ে জানলাম, আমাদের ঘনিষ্ঠজন ইমদাদুল হক নোমানী ভাইয়ের ছোটভাই। এবং যেদিন সরাসরি দেখা হলো সেদিন জানলাম ব্যক্তিজীবনে ইবাদ বিন সিদ্দিক মোটেই ডাইরেক্ট বলা লোক নন, তিনি খুবই লাজুক এবং কথা বলার সময় গুছিয়ে ধীরে ধীরে বলেন।

ইবাদ বিন সিদ্দিককে যতটুকু জানলাম তার বিশ্লেষণী যোগ্যতা দেখে আমরা অবাক হলাম। এতটুকু বয়সের এক তরুণের কাছে জীবন ও জগত সম্পর্কে চমৎকার যেসব পর্যবেক্ষণ পাওয়া যায় তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কাজে লাগবে।

লাজুক লোকদের সমস্যা হচ্ছে সময়মতো মুখ ফোটে বলতে না পারা। বাজার করতে গিয়ে দোকানদার ওজনে কম দিচ্ছে জেনেও লজ্জায় তারা কিছু বলতে পারে না। ফলমূল কিনতে গিয়ে পঁচা ফল বিক্রেতা ঝুড়িতে ভরে দেয় কিন্তু লাজুক হওয়ার কারণে প্রতিবাদ করতে পারে না। আর মাছবাজারের কথা নাই-বা বললাম। পঁচা মাছ বাসায় এনে বউয়ের ঝাড়ি খাননি এমন পুরুষ পাওয়া কঠিন। আমাদের ইবাদ এইসব সমস্যা কাঠিয়ে উঠবেন বলেই বিশ্বাস করি।

সৃষ্টিশীল তারুণ্যের উত্থান প্রয়োজন এই সময়ে। মগজ ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে উম্মাহর জন্য খেদমত করা লোকের খুবই অভাব। আমরা অন্যের দোষত্রুটির ব্যাপারে যতটুকু আগ্রহী নিজেদের সংশোধনের ব্যাপারে ততটুকুই অনাগ্রহী। অথচ আখেরাতে আমাদের সবাইকে নিজেদের হিসেব দিতে হবে, অন্যের আমলের হিসেব নয়। ইবাদ বিন সিদ্দিককে অন্যের ব্যাপারে নাক গলাতে দেখিনি কখনো আলহামদুলিল্লাহ। আপন সৃষ্টিশীল ভুবনে নিমগ্ন থাকতেই দেখেছি।

এই ধরনের একটি মানুষ বিয়ে করে সংসারী হবেন, খুবই আনন্দের বিষয়। আল্লাহ বারাকাহ দান করুন। নবাগতা বোনের জন্যও রইল শুভেচ্ছা।

আমাদের সমাজ বিবাহিত এবং জীবিত এই দুটো গ্রুপের কথা প্রায়ই শুনি। যারা এসবের উদ্যোক্তা তারা বুঝাতে চান যে, যারা বিয়ে করে ফেলেছেন তারা আর জীবিত থাকেন না, মরে যান।

কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। গবেষণায় দেখা গেছে অবিবাহিতদের চেয়ে বিবাহিতদের গড় আয়ু কিছুটা বেশিই। তাই যাদের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে তাদের উচিত দ্রুত বিয়ে করে ফেলা। মানুষের এই অল্প জীবনে সবকিছুরই টাইম ঠিক করে দিয়েছেন আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত। নিয়মের ব্যাতিক্রম করা উচিত না।

বিয়ে নবীজি সা.-এর সুন্নাত। জীবনে ও মরণে সবক্ষেত্রেই সুন্নাহকে অনুসরণ করা আমাদের জন্য কর্তব্য।

রুহুল আমীন সাদী
লেখক : আলেম, সংগঠক, অনলাইন-অ্যাক্টিভিস্ট ও থ্রিলার-লেখক

Scroll to Top