আমার শ্বশুরের ১০ মেয়ে। আলহামদুলিল্লাহ!
এ পরিবারের ছোটরা বড়দের কারো নাম ধরে ডাকে না। ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট আফিফা। ও সবাইকে যেভাবে ডাকে, আমি ভাবি আর অবাক হই—এও কী সম্ভব!
১. বড় আপা
২. মেজো আপা
৩. সেজো আপা
৪. ছোট আপা
৫. আপুমণি
৬. আপ্পি জান
৭. আপু
৮. আপা
৯. আপ্পি
১০. আফিফা
আপু আমার সঙ্গী!
আশা করছি ইবাদ-তাহমিদা দম্পতি আমার শ্বশুর-শাশুড়ির মতোই একটি বড় পরিবার গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবে।
দুই
এজগতে কোনো মা আবদুল কাদের জিলানী রহ. হয়ে জন্ম গ্রহণ করেননি! মায়েদের কেউ জুনায়েদ বাগদাদী, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি, শায়েখ ফরিদুদ্দিন আত্তার, খাজা সাইয়্যেদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি, খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া, হজরত ফরিদুদ্দিন গঞ্জেশকর উজুধানী, শায়েখ জালালুদ্দিন তাবরিজি, শায়েখ বাহাউদ্দীন জাকারিয়া মুলতানি, হজরত ইমামুদ্দিন দামেশকি, শায়েখ আহমদ শিহাব কুফী, হজরত দাউদ কাবুলী, শায়েখ জিয়া উদ্দিন রুমী, শায়েখ বোরহানুদ্দিন বালখি, শাহ মাহমুদ বিহারি, সুলতান নাসিরুদ্দিন গাজী এবং গত শতাব্দীর হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী, হজরত রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী, মোল্লা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী, শাইখুল হিন্দ মাহমুদ হাসান, হজরত আশরাফ আলী থানবী, শায়খুল ইসলাম হোসাইন আহমেদ মাদানী হননি। কিন্তু কোনো না কোনো মা তাদের মতো মনীষার জন্ম দিয়েছেন।
ইবাদ-তাহমিদা দম্পতি এ চেষ্টাটুকু করবেন কি? যার মাধ্যমে জন্ম হবে গত হওয়া সদর সাহেব খ্যাত শামসুল হক ফরিদপুরী, মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী, খতিবে আজম সিদ্দিক আহমদ, মুফতি ফজলুল হক আমিনী, শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, খতিব উবায়দুল হক, শায়খুল কোররা আকবর আলী ভানুগাছ, কিংবা প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান রহ.-এর মতো ক্ষণজন্মা প্রবাদ পুরুষ।
আল্লাহ তাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
এহসান সিরাজ
লেখক : জীবন্তিকা-সম্পাদক