আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস—আন-নিকাহু মিন সুন্নাতি, ফামান রাগিবা আন সুন্নাতি ফালাইসা মিন্নি। অর্থাৎ, নবীজি বলছেন, বিয়ে হলো আমার সুন্নাহ, যে আমার সুন্নাহ থেকে বিমুখ হবে সে আমার দলভুক্ত নয়।
স্নেহভাজন ইবাদ বিন সিদ্দিক নবীজির এই পবিত্র সুন্নাহ বাস্তবায়নের নিমিত্তে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে শুনে খুশি হলাম। ইবাদ কর্মতৎপর এক তরুণ। আইটি বিষয়ে তার কাজকর্ম এবং তৎপরতা আমাকে মুগ্ধ করে। তার পিতা হযরত আলী আকবর সিদ্দীক রহমতুল্লাহি আলায়হি দেশের খ্যাতনামা একজন বুযুর্গ ও কুরআনের খাদেম ছিলেন। বুযুর্গ পিতার সন্তান হিসেবে আমাদের দেশীয় পরিভাষা অনুযায়ী ইবাদ ‘সাহেবজাদা’ পরিচয়ে পরিচিত হবার কথা। কিন্তু সাহেবজাদাদের যে রূপ ও অবয়ব আমাদের কল্পনায় সাধারণত দৃশ্যায়িত হয়, ইবাদ ও তার অন্য ভাইয়েরা এই গ-ি থেকে একটু বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। দেশের ইসলামী অঙ্গনে আইটি ও সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে ইবাদ ও ইনাম তাদের কর্মজীবনের শুরু থেকেই কাজ করছে এবং এই ক্ষেত্রকে তারা পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। এটা নিশ্চয় অনেক প্রশংসনীয় একটি বিষয়।
বিবাহের মাধ্যমে ইবাদ তার ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় শুরু করছে। জীবনের এই অধ্যায়টি যদিও একান্ত ব্যক্তিগত, কিন্তু তা সামগ্রিকভাবে জীবনের বাকি-সব বিষয়-আশয়ে অত্যন্তপ্রভাবক ভূমিকা পালন করে। আমি দুআ করি, ইবাদের দাম্পত্যজীবন তার জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে যেন উপকারী প্রভাব ফেলে। তার পুরো জীবনটাই যেন নবীজির এই সুন্নাহের বরকতে ম-িত হয়ে ওঠে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের কল্যাণার্থে কবুল করুন। আমিন।
মাওলানা হাফিজ মুসলেহউদ্দীন আহমদ গহরপুরী
সহসভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ
মুহতামিম, জামিয়া গহরপুর, সিলেট